স্বামী বিবেকানন্দের সেরা ১০০ টি বাণী ও উক্তি | Swami Vivekananda Bani & Quotes In Bengali
✅ “যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে,
আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”
✅ “সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”
✅ “এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না।
সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”
শিক্ষামূলক বাণী:
✅ “বিশ্ব একটি ব্যায়ামাগার যেখানে
আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি”
✅ “এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে
আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”
✅ “আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে
জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
✅ “শুধু বড়ো লোক হয়ো না…
বড় মানুষ হও।”
✅ “সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও,
তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”
✅ “মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয়
আপনার মনের ভীতর অবস্থিত”
✅ “ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না,
যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ”
✅“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা…
প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”
✅“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে…
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
✅“যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে
দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন”
✅“জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”
স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা বিষয়ক বাণী:
✅ শিক্ষা হলো মানব জাতির উন্নয়নের একটি মাত্র চাবিকাঠি। তাই Swami Vivekananda তাঁর শিক্ষা মূলক Bani ইর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আসুন দেখেনি কিছু অমূল্য শিক্ষা বিষয়ক বাণী।
✅“যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই,
সে আসলে মরতে বসেছে।
যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”
✅“অনুতাপ কর না,
পূর্বে যে-সব কাজ করেছ,
সে-সব নিয়ে মাথা ঘামিও না,
এমন কি যে-সব ভাল কাজ করেছ,
তাও স্মৃতিপথ থেকে দূর করে দাও।”
✅“দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন।
আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন,
দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে”
✅“প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দৃঢ় করে
সেটাকে আপন করে নেওয়া উচিত
এবং প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দুর্বল করে দেয়,
তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত”
✅“শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।”
✅“যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না,
তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি,
অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”
✅“অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না,
তুমি যা করতে পারো সেটা করো
কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না”
✅“আমাদের প্রথম কর্তব্য হল নিজেকে ঘৃণা না করা।
উন্নত হইতে হইলে প্রথম নিজের উপর,
তারপরে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আবশ্যিক।
যাহার নিজের উপর বিশ্বাস নাই,
তাহার কখনই ঈশ্বরে বিশ্বাস আসিতে পারে না।”
✅“কোন জীবনই ব্যর্থ হইবে না,
জগতে ব্যর্থতা বলিয়া কিছু নাই।
শতবার মানুষ নিজেকে আঘাত করিবে,
সহস্রবার হোঁচট খাইবে,
কিন্তু পরিণামে অনুভব করিবে,
সে ঈশ্বর।”
✅“শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা…
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না,
বাইরের কাউকে দোষ দেবে না,
কিন্তু উঠে দাড়াও নিজেকে দোষ দাও,
তুমি বুঝতে পারবে নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা।”
অনুপ্রেরণামূলক বাণী স্বামীজির বাণী:-
✅“সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন,
এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল।
দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন”
✅“ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য…
এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি”
✅“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত,
যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”
✅“কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা।
তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে,
তুমি সব কিছুই করতে পারো।”
✅“জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না”
✅“মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো,
দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো,
এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।”
✅“নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন,
যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন
আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের
সঠিক পথ দেখাতে পারবেন”
✅“উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও।
যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও।
আর এটা সবসময় মাথায় রেখো,
তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা।
তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন,
সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে।
সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।”
✅কর্ম সম্পর্কে স্বামীজির বাণী
স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া কর্ম সম্পর্কিত বাণী গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে। আপনি এই অমূল্য Swami Vivekananda Bani গুলোও পড়ে আপনার কাজের ওপর মনোযোগ দিতে পারবেন।
✅“একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার
সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।”
✅“মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে।
যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে,
সেই বুদ্ধিমান।
কোনো কাজই ছোট নয়।”
✅“সকল কাজ কর, কিন্তু অনাসক্ত হয়ে কর,
কাজের জন্যই কাজ কর, কখনও নিজের জন্য কর না।”
✅“চালাকির দ্বারা কোনো মহৎ কর্ম হয় না।”
✅“কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।”
✅“যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়,
কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।”
✅“পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও…
অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য…
এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।”
✅“যা পারো নিজে করে যাও,
কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।”
✅“কখনও বড় পরিকল্পনার হিসাব করবেন না,
ধীরে ধীরে আগে শুরু করুন,
আপনার ভূমি নির্মাণ করুন তারপর ধীরে ধীরে এটিকে প্রসার করুন”
✅“কাজ করো নির্ভীকভাবে।
এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।”
✅“নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো!
তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে।
ভীত হয়ো না।
✅বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না।
কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো,
বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো,
আলোক আসবেই।”
সমাজ সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী:-
স্বামীজি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত একজন সমাজ সংস্কারক, তিনি তাঁর সমাজ সম্পর্কিত বাণী গুলোর মাধ্যমে আমাদের সমাজ সম্পর্কিত ধারণা কে প্রভাবিত করেছেন। Swami Vivekananda এর দেওয়া বিখ্যাত সমাজ সম্পর্কিত বাণীর সেরা কালেকশানটি নিচে দেওয়া রয়েছে।
✅“যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই।
আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি,
তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই,
কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই। ”
✅“মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র।
অর্থই বল নহে…
সাধুতাই-পবিত্রতাই বল।
আপনাতে বিশ্বাস রাখো।
প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।”
✅“সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না
বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়”
নারীদের নিয়ে স্বামীজির বাণী:-
✅ঊনবিংশ শতাব্দীতে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচার কে বন্ধ করতে Swami Vivekananda এর দেওয়া নারীদের সম্পর্কিত Bani গুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছিল। আসুন দেখে নিয়া যাক তাঁর দেওয়া কিছু নারীদের সম্পর্কিত বাণী।
✅“জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে,
কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।”
✅“গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে,
সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে?
যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই,
সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”
✅“একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান”
✅“ভারতের জননীই আদর্শ নারী।
মাতৃভাবই আদর্শ ও শেষ কথা।”
✅“মেয়েদের উন্নতি করতে পারো?
তবে আশা আছে।
নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।”
✅“সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।”
✅“ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত,
সীতা তার আদর্শ।”
✅“আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে,
কিন্তু তারা অনেক বেশি প্রবিত্র।”
✅“আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি।
তার ফল…
আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।”
✅“পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে,
কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।”
ধর্ম সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী:-
✅রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য, স্বামী বিবেকানন্দ বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করেছিলেন। তিনি তাঁর ধর্ম সম্পর্কিত ধারণা কে প্ৰকাশ করার জন্য যে বাণী গুলো দিয়েছেন সেগুলো নিচে দেওয়া রয়েছে।
✅“সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা,
নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন”
✅“ধর্ম এমন একটি ভাব,
যাহা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।”
✅“প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো,
তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”
✅“প্রার্থনা করা অপেক্ষা প্রাণ খুলিয়া হাসা অনেক ভালো।
গান কর। দুঃখের হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ কর।”
✅“ভগবান যদিও সর্বত্র আছে বটে,
কিন্তু তাঁকে আমরা জানতে পারি কেবল মানবচরিত্রের মধ্য দিয়ে।”
✅“জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ।
সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো…
দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”
✅“প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম”
✅“মানুষের সেবাই হলো ভগবানের সেবা”
✅“শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম।
দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ।
অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম,
অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।”
✅“যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো,
আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে
এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন”
✅“ঈশ্বর ব্যতীত জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য আর কি হইতে পারে?
ঈশ্বর স্বয়ংই মানুষের সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাঁহাকে দর্শন কর,
তাঁহাকে সম্ভোগ কর,
ঈশ্বর অপেক্ষা উচ্চতর বস্তু আমরা ধারণাই করিতে পারি না,
কারণ ঈশ্বর পূর্ণস্বরূপ।”
সত্য সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী:-
✅ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, সংগীতজ্ঞ এবং লেখক স্বামী বিবেকানন্দ, তাঁর সত্য সম্পর্কিত বাণীর দ্বারা বর্তমান বিশ্বকে সত্যের পথে হাঁটতে অনুপ্রাণিত করেছেন।
✅“সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে,
কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।”
✅“সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে,
তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে”
✅“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তারই জীবন,
সংকোচনই মৃত্যু, প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু”
✅“তুমি যখন নিজেকে দেহমাত্র বলিয়া ভাব,
তখন তুমি বিশ্বজগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন,
নিজেকে যখন জীব বলিয়া ভাব,
তখন তুমি সেই শাশ্বত মহান্ জাতির একটি কণিকামাত্র,
আর যখন নিজেকে আত্মা বলিয়া ভাব,
তখন তুমিই সব কিছু।”
✅“আমরা যেন প্রদীপ-স্বরূপ, আর ঐ প্রদীপের জ্বালাটাকেই আমরা ‘জীবন’ বলি।
যখনই অম্লজান ফুরিয়ে যাবে, তখনই আলোটাও নিবে যাবে।
আমরা কেবল প্রদীপটাকে সাফ রাখতে পারি।
জীবনটা কতকগুলি জিনিষের মিশ্রণে উৎপন্ন,
সুতরাং জীবন অবশ্যই তার উপাদান-কারণগুলিতে লীন হবে।”
চরিত্র সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী:-
✅স্বামীজির দেওয়া অন্যতম বাণী গুলোর মধ্যে একটি বিশেষ শ্রেণী হলো তাঁর দেওয়া চরিত্র সম্পর্কিত Swami Vivekananda Bani। স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া চরিত্র সম্পর্কিত বাণী গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে।
✅“উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো,
এবং হালকা হও…
কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”
✅“জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র,
জগত এখন তাদের চায় যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”
✅“যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না।
যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না।
যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।”
✅“সেবা করো তাৎপরতার সাথে।
দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।
ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।
তর্ক করো যুক্তির সাথে।
কথা বলো সংক্ষেপে।
✅“যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।
যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন
তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন
আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন,
তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”
✅অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়।
উহাতে কোন উপকার হয় না।
এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।
সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।
দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।
সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।
Mother Teresa: Mother Teresa Quotes Bangla
Leave a Reply