জীবনে ভালো থাকার জন্য কী করা উচিত?
জীবনে কী কী হলো না, কী কী পাওয়া গেলো না, সেগুলোর হিসেব না করে, কী কী হয়েছে, কী কী পাওয়া গেছে, সেগুলোর হিসাবকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। যা যা পাওয়া গেছে, সেগুলোই না পেলে কেমন হতো, সেটা ভাবনাতে থাকা উচিৎ। এই অভ্যাস, জীবনের অপ্রাপ্তি সম্পর্কে আক্ষেপ কে মিনিমাইজ করতেই থাকবে, জীবনে ভালো থাকার অনুভূতিকে প্রকট করে তুলবে।
ভালো থাকার জন্য কিছু প্রমুখ উপায় রয়েছে:
- স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন নেওয়া: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন করা ভালো।
- মানসিক স্বাস্থ্য: মেডিটেশন, যোগাযোগ, শান্তি প্রাক্তন আছে আপনি মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দক্ষতা উপর দ্বিধা স্থানে।
- স্বদেশ সম্পর্কে যত্ন: সহজে একটি বিশেষ প্রদেশে ভালো থাকা ভাবছেন বিভিন্ন আশীর্বাদ থাকতে পারে।
- প্রিয় কাজ করা: আপনি যা করতে ভালো লাগে, তা করুন আপনি মেহনত এবং উদ্যোগ প্রস্তুতি উপর ভালো বৃদ্ধি করা যায়।
- পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব: প্রিয় এবং সাপ্তাহিক সময় পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব সাথে সময় কাটানো ভালো আপনি সাপ্তাহিক প্রদর্শন করা স্বাস্থ্য এবং প্রয়োজনে মানসিক সাথে সাময় কাটানো বন্ধুবান্ধব।
- শিখা এবং উন্নতির ইচ্ছা: সদায় শিখা এবং বৃদ্ধির ইচ্ছা আপনি আপনার উদ্যোগে সাফল্য হাসিল করা সম্ভব সেই বার্ষিক প্রেরণা পাওয়া হয় জীবন প্রাতিস্থানিক বিষয় হয়।
- সাহায্য করা এবং দান করা: অন্যদের সাহায্য করা এবং দান করা আপনি এবং অন্যের ভালো বৃদ্ধি করতে পারেন।
কয়েক টি ভুল আছে যা জীবনে কখনো করা উচিত নয়:
ড্রাগ বা মাদক সেবন:
জীবনে অনেক হতাশা আসবে অনেক কষ্ট আসবে এর জন্য মাদকাসক্ত হবার দরকার নাই । যদিও মাদকাসক্ত মানুষ নিজের ইচ্ছায় হয় না অনেক সময় অনেক পারিবারিক , জীবনে বড় কোন দুর্ঘটনা বা প্রিয় মানুষ ছেড়ে চলে যাবার কারণে আপনি মাদকাসক্ত হতে পারেন । কিন্তু এই মাদক আসক্তি আপনাকে পলাতক বানাবে এবং আপনার ভিতরের জীবনী শক্তিকে শেষ করে দেবে ।
লেখাপড়া কে অনীহা বা অবহেলা করবেন নাঃ
আমরা অনেক সময় বলি লেখাপড়া করে লাভ কি ? বিশ্বাস করেন লেখাপড়ার অনেক মূল্য । লেখাপড়াতে ভালো হলে এই জিনিস আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে । লেখা পড়া কে যদি খালি কোন মতে পাশ জন্য পড়েন তাইলে ভুল কিন্তু যদি শিখার বা জনার উদেশ্যে করেন তাইলে আপনার লেখাপড়ার জীবন সফল।
সুসময় এর জন্য বসে থাকাঃ
এই ভুল থেকে বাচার উপায় হল ভালো সময়ের জন্য বসে না থেকে যে সময় আপনার হাতে আছে তাকে কাজে লাগানো এবং সুযোগ নিজেই সৃষ্টি করা ।
কোন কিছু শিখার সময় অতিরিক্ত বেশি লাভ লস এর হিসাব করাঃ
সময় চলে যায় কিন্তু সাধন হয় না । মনে রাখবেন জীবনে শুধু ভালো ফল পাবেন খারাপ ফল পাবেন না তা হয় না আপনাকে ভালো এর সহে খারাপ এর অভিজ্ঞতা নিয়ে চলতে হবে । ভুল হলে তাতে হতাশ না হলে আবার চেষ্টা করতে হবে ।
নিজেকে পরিবর্তন করার কৌশলঃ
বলবেন কম, শুনবেন বেশিঃ
আমরা সাধারণত অন্যের সামনে বেশি কথা বলতে পছন্দ করি। শুনি কম কিন্তু কথা বলি বেশি। যা মোটেও ঠিক না। এতে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে না, বরং কমে যায়। নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই বেশি বেশি শুনতে হবে, বলতে হবে কম।
কাজ করবেন বেশি, অন্যের কাজ দেখবেন কমঃ
আমরা সবাই কোনো না কোনো কাজ করে থাকি। তবে নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজের দিকে নজর রাখি বেশি। কে কি কাজ করলো সেটা দেখতেই আমরা পছন্দ করি। নিজের কাজের বেলায় আমরা অবহেলা করে থাকি, যা মোটেও উচিত নয়। তাই নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যের কাজ কম দেখতে হবে।
নিজের দোষ দেখবেন, অন্যের গুণ দেখবেনঃ
নিজের দোষ চেপে অন্যের দোষ নিয়ে টানাটানি করার মতো লোকের সংখ্যাই আমাদের দেশে বেশি। পরচর্চা, পরনিন্দা নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। এগুলো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। নিজের দোষ-ত্রুটি বের করে সংশোধন করতে হবে। অন্যের ভুল না ধরে তার সুন্দর গুণগুলো দেখতে হবে। তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করা সহজতর হবে।
নিজেকে বড় মনে করবেন না, অন্যকে সম্মান করবেনঃ
আত্মঅহমিকা একটি জঘন্যতম বাজে কাজ। নিজেকে সর্বদা নমনীয় রাখতে হবে। কোনোকিছুতে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। আপনি কোনো কাজ বা বিষয় অন্যের চেয়ে বেশি জানতেই পারেন। তাই বলে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করবেন না। ফলে মানুষের কাছে ‘ছোটলোক’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারেন। সুতরাং অন্যকে সম্মান করুন। এতে আপনার নিজের জন্যই কল্যাণকর হবে।
নিজেকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এ কাজগুলো নিয়মিত মেনে চললে, যে কেউ নিজের সঙ্গে জীবনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
শান্তিতে থাকার উপায়ঃ
- বিভিন্ন কুকর্ম থেকে দূরে থাকুন।
- নিজেকে কখনো অবহেলা করবেন না।
- যথা সম্ভব নিজের ভুল নিজে ধরার চেষ্টা করুন।
- সবসময় মুচকি হাসুন।
- জীবনে সঠিক লক্ষ্য রাখেন এবং সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করেন।
- বিভিন্ন ধরনের খারাপ আড্ডা থেকে এবং খারাপ মানুষের থেকে দূরে থাকেন।
- সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা অর্থাৎ নিজে যেটা ভাবি সেটাই সঠিক আর আমার বিপরীতে যে যেটাই ভাবে সেটাই ভুল এমন চিন্তা ধারা থেকে দূরে থাকেন। সত্যের খোঁজ করেন ভ্রান্ত ধারণা থেকে দূরে থাকুন।
- শরীরকে সুস্থ রাখেন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য শারীরিক যোগ ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করুন।
Leave a Reply