Chanakya Niti Bengali Quotes
১.”গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।“-চাণক্য
২.”নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না, নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।“-চাণক্য
৩.”বিদ্বান সকল গুণের আধার,অজ্ঞ সকল দোষের আকর। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।“-চাণক্য
৪.“যেইসব শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে নষ্ট করে আর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমানো পছন্দ করে, সেইসব শিক্ষার্থীরা জীবনে সফল হতে পারেনা এবং তারা বেশিরভাগ কাজ ঠিক মতো করতে অক্ষম হয়।” – চাণক্য
৫.“একজন পন্ডিত ব্যক্তিও ঘোর দুঃখ-কষ্টের স্বীকার হতে পারেন যদি সে, একজন মূর্খ ব্যক্তিকে উপদেশ দেন অথবা কোনো দুষ্ট স্ত্রীর ভরন পোষণে লিপ্ত হন কিংবা কোনো দুঃখী ব্যক্তির সাথে দৈনন্দিন সম্পর্ক স্থাপন করেন।“
৬.“ অলস শিক্ষার্থীরা ঠিক ততটাই জ্ঞান অর্জন করতে পারে, যতটা তাদের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন।“-চাণক্য
৭.”গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন,তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।“
আরও পড়ুন:- buddha quotes on karma
৮.”যারা পরিশ্রমী,তাদের জন্যে কোনকিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়।” – চাণক্য
৯.“সদগুণ সম্পন্ন একজন পুত্র,অযোগ্য শত শত পুত্রের চেয়ে অনেক শ্রেয়। কারণ রাতের আকাশে একটিমাত্র চাঁদই কিন্তু আকাশের সমস্ত অন্ধকারকে দূর করতে পারে।“
১০.“দুর্জন ব্যক্তি বিদ্যান হলেও যেকোনো মূল্যে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত,কারন মণিভূষিত বিষাক্ত সাপও অধিক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।“
১১.”বিষের পাত্র থেকে অমৃত,অপবিত্র স্থান থেকে স্বর্ণ,সবচেয়ে নীচ ব্যক্তির কাছ থেকেও জ্ঞান এবং নীচ বংশের পরিবার থেকে ও গুণবতী স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত।”
১২.”সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর, কিন্তু সাপের চেয়ে খল বেশি নিষ্ঠুর। সাপকে মন্ত্র বা ওষধি দিয়ে বশ করা যায়, কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?” – চাণক্য
১৩.”পুত্রকে যারা পড়ান না,সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।“
১৪.”পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করবে।“
১৫.”তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়:নিজের পত্নীতে,ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন,জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।“
১৬.”উৎসবে,বিপদে,দুর্ভিক্ষে,শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে, রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে,সে-ই প্রকৃত বন্ধু।“-চাণক্য
১৭.”বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই,ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই,দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।“
১৮.”শাস্ত্র অনন্ত,বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত।
হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়,তেমনি।“
১৯.“চঞ্চল মন যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার পিছনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।“
২০.“দুর্জনের সঙ্গ ত্যাগ করো, সাধু সঙ্গে ভজন করো। দিনরাত সর্বদা পুণ্য কর্মে লিপ্ত থাকো এবং সর্বদা এই জগতের অনিত্যতাকে স্মরণে রেখো।“
চানক্যর বাণী ( Chanakya Quotes ) :-
২১.”দুষ্টা স্ত্রী,প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার, এ-বিষয়ে সংশয় নেই।“-চাণক্য
২২.”একটিমাত্র বৃক্ষে লাগা আগুনের দ্বারা যেমন সম্পূর্ণ বন ভস্মে পরিণত হতে পারে তেমনি একজন কুপুত্রের দ্বারাও সম্পূর্ণ পরিবার ধ্বংস হতে পারে।“
২৩.”অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।“
২৪.”একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়,তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।“
২৫.”পরস্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মত মনে করে, সেই যথার্থ জ্ঞানী।“-চাণক্য
২৬.”আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে
ভাল কথা বলে, যার উপরে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।“
২৭.”রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি, পৃথিবীর ভূষণ রাজা, কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।“-চাণক্য
২৮.”দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষ নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।“
২৯.”যারা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন,তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।“
৩০.”সত্যবাক্য দুর্লভ, হিতকারী-পুত্র দুর্লভ, সমমনস্কা-পত্নী দুর্লভ, প্রিয়স্বজনও তেমনি দুর্লভ।“-চাণক্য
Chanakya Quotes Bengali With Image
৩১.”বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একইরকম। প্রয়োজন কালে তা বিদ্যাই নয়,ধনই নয়।“-চাণক্য
৩২.”শাস্ত্র অনন্ত,বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত। হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়,তেমনি।“
৩৩.”স্বভাবত কেউই আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়না, একমাত্র কাজের দ্বারাই মানুষ আমাদের বন্ধু কিংবা শত্রু হয়।“-চাণক্য
৩৪.”বিষের পাত্র থেকে অমৃত,অপবিত্র স্থান থেকে স্বর্ণ,সবচেয়ে নীচ ব্যক্তির কাছ থেকেও জ্ঞান এবং নীচ বংশের পরিবার থেকেও গুণবতী স্ত্রী গ্রহণ করা।“
৩৫.”দুই ধরনের হিংসুক প্রাণী আছে, যথা সাপ ও সাপের মতোই ক্রূর স্বভাব বিশিষ্ট মানুষ। এরমধ্যে সাপের মতো ক্রূর স্বভাব বিশিষ্ট মানুষ অধিক ভয়ানক।“
৩৬.”নখযুক্ত প্রাণী,শিংওয়ালা জন্তু,অস্ত্রধারী ব্যক্তি এবং রাজনীতিবীদকে কখনই বিশ্বাস করতে নেই।“
৩৭.“সাধুগণ সকল জীবকেই তাঁর কৃপা প্রদান করে, এমনকি যাদের সদগুণ নেই তাদেরও। ঠিক যেমন সমাজচ্যুত ব্যক্তির ঘরে আলো বিতরণ করতে চাঁদও বিরত থাকেনা।“
৩৮.“অতিরিক্ত স্নেহ করার ফলে,সন্তানের অনেক দোষ জন্মায়, কিন্তু কঠোরতার দ্বারা তার সুন্দর চরিত্র গড়ে ওঠে। তাই সন্তান ও শিষ্যের প্রতি কমল নয় কঠোর হও।“
৩৯.”বুদ্ধিমান ব্যক্তির এই ৫টি জায়গায় যাওয়া উচিত নয়-ক.যেখানে রোজগারের কোনো সুযোগ নেই।
খ.যেখানকার মানুষদের মধ্যে কোনো ভয়ডর নেই।
গ.যেখানকার মানুষদের মধ্যে কোনো লজ্জাবোধ নেই।
ঘ.যেখানে কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি বসবাস করেনা।
ঙ.যেখানে মানুষ দান-ধর্মের বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে।” -চাণক্য
আরও পড়ুন:- Bangla Romantic Status
৪০.”অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, যাঞ্চায় সম্মান-নাশ হয়, দারিদ্র্যে বুদ্ধিনাশ হয়।“
৪১.”মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়। এই বাসনাগুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।“-চাণক্য
৪২.”আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রিয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ, যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যায়।“-চাণক্য
৪৩.” রাজ্যের উন্নতি ইন্দ্রিগুলোর ওপরে বিজয় প্রাপ্ত করার মধ্যে আছে।“
৪৪.” অলস ব্যক্তির কিছুই প্রাপ্ত হয় না।“
৪৫.”বিপত্তির সময় স্নেহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তিই মিত্র হয়।“
৪৬.”বৃদ্ধি আর বিনাশ নিজের হাতে থাকে!“
৪৭.”ধৈর্যহীন ব্যক্তির বর্তমান আর ভবিষ্যত বলে কিছু থাকে না।“
৪৮.”চঞ্চল চিত্তের ব্যক্তিদের কার্যসিদ্ধি হয় না!“
৪৯.”কঠিন সময়ে বুদ্ধিই পথ দেখায়!“
৫০.”নিজের দূর্বলতা কাউকে জানাবেন না!“
৫১.”শলা পরামর্শের সময় কোনো জেদ করা উচিত নয়!“
৫২.”শত্রু দেশের গুপ্তচরেদের ওপরে সর্বদা দৃষ্টি রাখা উচিত!“
৫৩.”যার ওপরে বিশ্বাস থাকে না…তাকে কখনো বিশ্বাস করা উচিত নয়!“
৫৪.”আত্মরক্ষা হলে তবেই সকলের রক্ষা হয়।“
৫৫.”অহংকারী হলে গোপন রহস্য শত্রু জেনে ফেলে।“
৫৬.”সর্বদা শত্রুর প্রচেষ্টার ওপরে দৃষ্টি রাখুন।“
৫৭.”যে কোনো সম্পর্ক উদ্দেশ্যের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে।“
৫৮.”অল্প ভোজন করাই স্বাস্থ্য লাভ হয়!“
৫৯.”বার্ধক্যে বেড়ে ওঠা ছোট রোগকেও উপেক্ষা করবেন না!“
৬০.”প্রতিবেশী দেশের সাথে সন্ধি হলেও তার গতিবিধিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।“
শত্রুকে বশে রাখুন
কাটা দিয়ে যেমন কাঁটা তুলতে হয় তেমনি শত্রুর শত্রু তার সাথে মিত্রতা স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিতে হয় । চাণক্য বলেছেন বলবান শত্রুকে সর্বদা অনুকুল ব্যবহারের দ্বারা বশ করতে হয়, দুর্বল শত্রুকে ক্ষমতা প্রদর্শন করে বশ করতে হয়, সমান ক্ষমতাসম্পন্ন শত্রুকে বিনয় প্রদর্শন করে অথবা বল প্রদর্শনের দ্বারা বশ করতে হয়।
আজ আমি কূটনীতিবিদ মহান নীতি স্বাথ্যকার চাণক্য বা কৌটিল্যের কিছু নীতিবাক্য। চাণক্য কে জ্ঞানের সাগর বলে মনে করলে কম বলা হবে না। এখন আমি আপনাদের সামনে ব্যাখ্যা করব শত্রুদের কিভাবে পরাভূত করবেন।
শত্রু ছাড়া মানুষ পৃথিবীতে নেই, এই শত্রুদের দ্বারা কোন কোন সময় মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। চাণক্য শত্রু দমন করার কৌশল গুলি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।
মনে রাখবেন আপনার শত্রুদের আপনি যদি বশ করতে না পারেন তাহলে আপনাকে সর্বদাই দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে। এটা আপনি ভালো করেই তো জানেন প্রথমে আপনার শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে দেখতে হবে তারা আপনার কি কি ভাবে ক্ষতি করতে পারে, দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখতে হবে শত্রু আপনার থেকে বেশি ধনশালী নাকি কম ধনশালী, এবার শত্রুকে বশে রাখার পরিকল্পনা করতে হবে।
এখানে চাণক্য বলেছেন যদি শত্রু আপনার থেকে বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে তার ওপর বল প্রয়োগ করা যাবে না। তাকে কৌশলে পরাভূত করতে হবে, কৌশলগুলি হলো প্রথমত তার সাথে মিষ্টি ব্যবহার করুন এবং তাকে আপনার বসের নিয়ে আসুন, শত্রু টি যদি খুবই ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হয় তাহলে আপনাকে কৌশল জানতে হবে। আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে ওই শত্রুর শত্রু কে এবং তার সাথে আপনাকে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে হবে।এইবার ধীরে ধীরে আপনার ঐ বন্ধুটি মানে যে আপনার শত্রুর শত্রু তাকে ওই শত্রুর বিষয়ে ক্ষিপ্ত করে তুলতে হবে এই ভাবেই কিন্তু আপনার বিপদের জয় হবে।
আর আক্রমণ করার সময় সম্পূর্ণ কোমর ভেঙে ফেলতে হবে। আর আক্রমণ সম্পূর্ণভাবে করতে হবে সেটি কোন কারণে ছেড়ে দিলে হবে না তাহলে কিন্তু সে আপনার পরে আবার ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন:- bertho jibon niye ukti
এবার শত্রু যদি দুর্বল হয় তাকে ক্ষমতা দেখিয়ে বশে আনা দরকার। আর শত্রু যদি আপনার সমান ক্ষমতাসীন হয়ে থাকে তাহলে তাকে ভালো ব্যবহার এর দ্বারা নতুবা সম্পূর্ণভাবে তাকে নিজের বশে আনতে হবে।
এইভাবে আপনি আপনার শত্রুকে বিচার করুন এবং ধীরে ধীরে কৌশলে কখনো ক্ষমতা প্রদর্শন করে তাকে নিজের বশে রাখুন।
এবার হবেই অপর একটি শ্লোকের ব্যাখ্যা দেবো বন্ধু দুষ্টু হোক বা সৎ তাকে কখনো নিজের দুর্বলতার কথা বলতে নেই। প্রত্যেক মানুষের একটা না একটা দুর্বলতা থাকে আর এই দুর্বলতা হলো তার একটি ছিদ্র। আরে ছিদ্র তারাই বিপদ আসে সর্বদা নিজের দুর্বলতা জায়গা কখনো বন্ধুকে দেখাতে নেই বা কোনো দুর্বলতা জনক ঘটনা সেই বন্ধুকে বলতে নেই।
বন্ধু কেন যেই হোক না কেন তাকে আপনি কখনো নিজের দুর্বলতার কথা বলবেন না। বন্ধু যতই আপন হোক না কেন সে শত্রুতে পরিবর্তন হতে বেশিক্ষণ সময় নেয় না। আর তখন যদি সে আপনার দুর্বলতার কথা জানে আপনাকে পরাভূত করতে ওই দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে অপেক্ষা করবে না। তাই নিজের দুর্বলতার কথা বন্ধুর কাছে স্বীকার করতে নেই।
এবার চাণক্য বলেছেন নিজের পরিকল্পনার কথা অর্থাৎ নিজের গোলের কথা। কখনো কারোর কাছে সম্পূর্ণভাবে শেয়ার করতে নেই।ওই পরিকল্পনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পূর্ণ করা দরকার। প্রত্যেক মানুষের একটা পরিকল্পনা থাকে একটা উদ্দেশ্য থাকে একটা লক্ষ্য থাকে এই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কে অন্য কোন বন্ধুর কাছে বা অন্যকোন প্রতিনিধির কাছে আপনি যদি শেয়ার করেন সে এই কথাটা আবার অপর জনের সাথে শেয়ার করতে পারে কিন্তু আপনার বন্ধু আপনার সাথে বিট্রে করল না দেখা গেল সে যার কাছে সেই কথাটি শেয়ার করেছে সে আপনার সাথে বিট্রে করলো, সে আপনারই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করে দিয়েছে।
আর তখন আপনি কোন কিছুই করতে পারলেন না আপনার পরিকল্পনা পরিকল্পনায় থেকে গেল।
তাই খামোখা একে-ওকে আপনার পরিকল্পনার কথা না বলে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটিকে সম্পূর্ণ করুন। এই মত গুলি আপনাকে অবশ্যই মেনে চলা দরকার না হলে আপনাকে জীবনে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হবে।
মহান কূটনীতিবিদ চাণক্য বা কৌটিল্য শত্রু দমন করার জন্য নিজের পরিকল্পনা গ্ৰহনের জন্য বাস্তবে চলার জন্য অনেকগুলি তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যার ব্যাখ্যা আমি আপনার সামনে তুলে ধরলাম আশা করি আপনার জীবনের পথে চলতে আপনার সাফল্যে পৌঁছাতে এই লেখাগুলি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Leave a Reply